Wednesday, September 18, 2024

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার

- Advertisement -

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর সুমন ব্যাপারি নামে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা। সুমনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আব্দুল্লাহপুরে। সোমবার (২৯ জুন) রাত ১০টার দিকে ডুবুরিরা টিউবের মাধ্যমে লঞ্চটি ওপরে তোলার চেষ্টা করে। লঞ্চটির একাংশ যখন ওপরে উঠে আসছিল ঠিক তখনই সুমন ব্যাপারি লঞ্চ থেকে বের হয়ে আসেন।তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ডুবুরিরা তাকে লাইফ জ্যাকেটে ঢেকে এবং মেসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা করেন। এরপর সে চোখ মেলে তাকান। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো  হয়।কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, তারা যখন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলেন। তিনি চোখের ইশারায় কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। পানির নিচে তলিয়ে গেলেও সুমন ব্যাপারি কীভাবে বেঁচে গেলেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যেখানে আটকা পড়েছিলেন সেখানে হয়তো সেভাবে পানি প্রবেশ করেনি। যখন টিউবের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন লঞ্চটি সামান্য ভেসে ওঠার পর তিনি নিজের প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসেন। উদ্ধার কর্মীরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নৌকায় তোলেন।

উল্লেখ, সোমবার (২৯ জুন)  সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা দোতালা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজার এলাকায় ডুবে যায়। লঞ্চে ৫০ যাত্রী ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করেন ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলেই ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিখোঁজদের স্বজনরা বুড়িগঙ্গার তীরে এসে ভিড় করছেন।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত