বুধবার যশোরে ৪২ জন আক্রান্তের যশোর সদরের রয়েছেন ২৩ জন। তারমধ্যে পৌর এলাকার ১৬জন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ৫ জন, পুলিশ সদস্য ৪জন, ২জন আইনজীবী ও একজন বিএডিসি কর্মকর্তা। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন যশোর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ঝালায়পট্টি এলাকার একজন ব্যবসায়ী, খালধার রোডের ১জন, ৩নং ওয়ার্ডে ঘোপ সেন্টাল রোড এলাকার একজন আইনজীবী, ৪ নং ওয়ার্ডের পালবাড়ী এলাকার ১জন, তিনি বিএডিসি কর্মকর্তা। বর্তমানে মণিরামপুরে কর্মরত। পুরাতন কসবার দুইজন। তারমধ্যে একজন পুলিশের এসআই। ৫ নং ওয়ার্ডের একজন এ এসআই। তিনি বর্তমানে জিডিএল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খড়কী হাজাম পাড়ার ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা, কারাবালা এলাকার পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) একজন ওসি। ৬ নং ওয়ার্ডের ভোলা ট্যাংক রোডের একজন আইনজীবী ও একই এলাকার একজন পুলিশের এ.এস আই। তিনি চট্রোগ্রামে কর্মরত ছিলেন।৭ নং ওয়ার্ডের টিবি ক্লিনিক মোড়ের একজন পুরুষ। তার পরিবারের আগেও দুইজন আক্রান্ত। ৮ নং ওয়ার্ডের আরএন রোডের জনতা ব্যাংকের উপশহর শাখার একজন কর্মকর্তা ও ৯নং ওয়ার্ডের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার একজন পুরুষ ও সুপারী বাগান এলাকার স্বামী স্ত্রী দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হন।এ ছাড়া হৈবতপুর ইউনিয়নের বারীনগর বাজারে একজন, ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুর এলাকার একজন ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি গ্রামের একজন। ইউনিয়নে আক্রান্ত তিনজনই পুরুষ। এ ছাড়া যশোরে সদরের মধ্যে থাকা তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এরবাইরে যশোর সদর হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করিয়েছেন যাদের বাড়ি একজনের মণিরামপুর উপজেলায় অপরজনের ঝিকরগাছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তার আদনান।উল্লেখ্য, বুধবার যশোরে ৪২ জন নতুন শনাক্ত হয়েছেন। যবিপ্রবি থেকে আসা ১৩১ নমুনার ফলাফলে ৪২ জনের পজেটিভ ফলাফল আসে। আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ২৩ জন, অভয়নগরের ৬, ঝিকরগাছার ৬, শার্শার ৪ ও চৌগাছা উপজেলার তিনজন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডাক্তার রেহনেওয়াজ রনি। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬শ’৪১ জন ও সুস্থ্য হয়েছেন ১৯২ জন। মারা গেছেন ১২জন।
বিশেষ প্রতিনিধি