যশোরের বাঘারপাড়ায় শেখেরবাতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ও নৈশ প্রহরির যোগসাজশে পুরাতন বেঞ্চ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে এলাকায় পোষ্টারিং করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শেখেরবাতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক লোহার বেঞ্চ পূর্ব নোটিশ বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার ও নৈশ প্রহরি
রওশন আলী জোগসাজগে বিক্রি করেছেন। কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরি রওশন আলী বেঞ্চ মেরামতের কথা বলে ভোর সকালে আলমসাধু (ইঞ্জিনচালিতভ্যান) যোগে নারিকেলবাড়িয়া বাজারের সাকিব আয়রণ ষ্টোরে নিয়ে তা বিক্রি করেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বেঞ্চগুলো স্কুলে আনা হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সাকিব আয়রণ ষ্টোরের (ভাঙ্গারী মালামাল ক্রেতা) মালিকের কাছে ভাঙ্গারী হিসাবে বিক্রয় করা হয়েছে। এঘটনায় প্রশাসনের নিকট জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে পোষ্টারিং করা হয়েছে।স্কুলের পাশে বসবাসকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, কয়েকমাস আগে ইঞ্জিনচালিত দু’টি ভ্যানে ভোর সকালের দিকে নৈশ প্রহরি রওশন বেঞ্চ নিয়ে যাচ্ছিল। বেঞ্চ কোথায়
নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে রওশন বলেছে টিও সাহেব (প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার) বিক্রি করে দিতে
বলেছেন।সাকিব আয়রণ ষ্টোরের মালিক (ভাঙ্গারী মালামাল ক্রেতা) জানিয়েছেন, ‘শেখেরবাতান স্কুল থেকে অল্প কয়ডা
মাল দিয়ে গিছিল। মেলা দিনের কথা, ওত কি খেয়াল থাকে।’ নৈশ প্রহরি রওশন আলী জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আপনি হেড ম্যাডামের সাথে কথা বলেন।বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শিহাব উদ্দীনের কাছে মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার জানান, আমি বিদ্যালয়ের কোনো বেঞ্চ বিক্রি করিনি। এবিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা হবে। জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, এভাবে পুরাতন বেঞ্চ বিক্রি করার কোনো নিয়ম নেই। ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও একই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধেও অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী পোষ্টারিং করেছিল।
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি