যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভিটাবল্ল্যায় গতকাল গভীর রাতে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতকরে ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দু্ই দফা হামলা , ভাংচুর, নগদ টাকা সহ সোনাগহনা লুটের অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানাযায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সবাই যখন ঘুমে তখন হঠাৎ করে বাহির থেকে কিছু লোকের আওয়াজ শুনে উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভিটাবল্ল্যা গ্রামের মৃত নওশের আলী বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাসের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় তিনি বাইরে বের হলে সন্ত্রাসীরা লাঠি দিয়ে রিপনের মাথায় আঘাত করে। রিপন মাটিতে পরে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের অন্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২লাখ টাকা সহ স্বর্ণালংকার ও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে । এসময় রিপনের ভাই ফরিদ হোসেন ও তার বৃদ্ধ মা রিজিয়া বেগম (৬৫) কেও সন্ত্রাসীরা বেধরক মারপিট করে। আহতদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই সন্ত্রাসীরা চলে যায়। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্থানীয় এলাকাবাসী। আহতদের মধ্যে ফরিদ উদ্দীনের আবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতের পরিবার আরো জানান, আতর্কিত এই হামলার আধা ঘন্টা পর সন্ত্রাসীরা পুনরায় ভিকটিমের বাড়ি এসে এলোপাতাড়ি ভাবে ভাংচুর সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের মধ্যে কয়েক জনকে চিনতে পেরেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান তারা। তাদের মধ্যে একই গ্রামের আক্কাস আলী সর্দারের দু ছেলে ইকরাম হোসেন ও আকরাম হোসেন,একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে প্রান্ত, জামির সর্দারের ছেলে আব্দুর রহিম, ইয়াকুব সর্দারের ছেলে আকতার, নড়াইল সদর উপজেলা শেখহাটি গ্রামের টিটো সহ আরো কয়েকজন ছিলো দাবি আহত পরিবারের। এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
বিশেষ প্রতিনিধি