৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ এসেছে ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কাজ না করে বিল তুলে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। টাকাগুলো আবার জমাও রেখেছেন ওই কর্মকর্তার একাউন্টেই। রুটিন মেইনটেনেন্সের ৬৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় ২৭ লাখ টাকাও ওই একাউন্টে জমা রাখা হয়েছে। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতে ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৯ টি বিদ্যালয়কে দুই লাখ করে ৫৮ লাখ ও ৯টি বিদ্যালয়কে দেড় লাখ করে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।রুটিন মেইনটেনেন্সেও ৬৭ টি বিদ্যালয়ে ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৪) আওতায় বিদ্যালয় মেরামত করতে এসব অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ওই ২৯ টি বিদ্যালয়ে বরাদ্দের টাকা এলেও যথাসময়ে তা উত্তোলন করে কাজ করা হয়নি। প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো কাজই সম্পন্ন করেননি তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, এসব টাকা অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে ব্যয় করার বিধান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এসব টাকা সংস্কারকাজে ব্যয় করা হয়নি। চলতি বছরের ৩০ জুন বরাদ্দের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে এসব বিল উত্তোলন করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের ব্যাংক একাউন্টে জমা রেখেছেন।অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয় মেরামতের টাকাগুলো ৩০ জুনের মধ্যে উত্তোলন না করলে তা ফেরত যেত। কাজের সুবিধার্থে অনেক সময় অনেক কিছু করতে হয়।’ প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যংক একাউন্টে টাকা রাখার বিষয়ে আমার সাথে কোনো পরামর্শ করেননি।’জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘করোনার কারণে কিছু সমস্যা হয়েছে। কিন্তু গত ডিসেম্বরের বরাদ্দের কাজ কেন সম্পন্ন হয়নি শিক্ষা কর্মকর্তাকে সে বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা বলা হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি