যশোরের বাঘারপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে রিপন হোসেন হত্যা মামলার আসামী বরকত আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে তিনি ঘটনার বিষয় স্বীকার করেন। তিনি জানান, তার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে বাঘারপাড়ায় নানা বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরে তার মটরসাইকেল নষ্ট হয়ে যায়। এরপর একটি ভ্যানে করে ওই মোটরসাইকেল নিয়ে বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে যান। সাথে তার স্ত্রী পিংকি ছিল। এসময় মাইক্রোতে থাকা একজন তার স্ত্রীকে বিরক্ত করে। সে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায় আরো লোকজন জড় হয়ে তাদেরকে মারতে থাকে। বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা ছোট একটা চাকু দিয়ে তাদের উপর আঘাত করে । যা রিপনের গায়ে লাগে। এবং রিপনের মৃত্যু হয়। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বরকতুল্লাহ খান যশোর শহরের বারান্দী মোল্লা পাড়ার মৃত মাহফুজুর রহমানের ছেলে। এরআগে এ ঘটনায় বাঘারপাড়া উপজেলার মহিরণ মধ্যপাড়ার মৃত তোরাবের ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বরকতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে শওকত হোসেন রিপন ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট চালক। রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে সে ভাড়ার অপেক্ষায় ছিলো। এমন সময় স্টান্ডে অন্য চালক ফেলু, মাইক্রোচালক হাসিবুলের সাথে মোটরসাইকেল ঠিক করা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছিল।একপর্যায় বরকত ওই দুজনের কিলঘুষি মারাশুরু করে। পরে নিহত রিপন শফিয়ার, শরিফুল, আনারুল, মোস্তাক আহম্মেদ সহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলেবরকত তার পান্টের পকেট থেকে ধারালো চাকু বের করে রিপনের বুকের বামপাশে আঘাত করে। এতে রিপন গুরুতর জখম হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে রোববার রিপনের মৃত্যুে সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। স্থানীয়রা রিপনের খুনির ফাঁসির দাবি জানান । সোমবার বিকালে নিহত রিপনের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার ও বাঘারপাড়া প্রতিনিধি