যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার খবির উর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ শামসুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা কমিটি। নারী প্রভাষকদের সাথে অশ্লীল আচারণ, সরকারী নির্দেশ অমান্য, কর্তব্যে অবহেলা সহ ১৯ টি অভিযোগের কারণ দর্শানোর নোটিশের সন্তোষ জনক জবাব নেয়া দেওয়ায় শনিবার দুপুরে ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ স্বীদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে এদিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী ম্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, সংসদ সদস্যকে নিয়ে কুরুচি পূর্ণ বক্তব্য, চাকরীর শর্তাবলী লংঘন, সরাকরী নির্দেশ অমান্য, নারী প্রভাষকদের চরিত্র হনন ও অশোভন আচরণ, কলেজের অভ্যন্তরীন আয় ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষন উপ কমিটি ছাড়া নিজে বেচা কেনা করা, পেশাগত অসদাচরণ, কমিটির স্বিদ্ধান্ত অমান্য করে অভিযুক্ত এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া, ফৌজদারী মামলার আসামি ও কারাবাসের পরও তাকে প্রশ্রয় দেয়া সহ ১৯ টি অভিযোগ আনা হয় অধ্যক্ষ শামসুর রহমানে বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের মধ্যে ২৭জনই তাকে অপছন্দ করেন। ২৭জনই তার বিরুদ্ধে এমপি মহাদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে দু’দফা কারণ দর্শাণোর নোটিশ দিলেও তিনি সন্তোষ জনক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে শনিবার দুপুরে পরিচালনা পরিষদের ১৩ কমিটির মধ্যে ১০জনের উপস্থিতিতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শামসুর রহমান বলেন, সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি কলেজের টাকা আত্মসাৎ করে জমি কিনেছেন। ভাই চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কেউ সাহস পায়না। এছাড়া পূর্নিমা রানী নামের একজন শিক্ষককে তিনি বহিস্কারের জন্য উঠে পরে লেগেছিলেন।নাইট গার্ড ও তার বারার উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তারা। এতোসব অনিয়ম তিনি অধ্যক্ষ হয়ে সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ডিসি মহাদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। যা তদন্ত করে প্রমানিত হয়েছে। তারই সূত্র ধরে অধ্যক্ষ সহ একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
উল্লেখ্য, বাঘারপাড়ার খবির উর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই দন্দ্ব চলে আসছে। বিভিন্ন মাধ্যমে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য ছোড়াছুরি চলছে। হচ্ছে মামলা পাল্টা মামলা। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি এভাবে চলতে থাকলে খুব শিঘ্রই এ কলেজের সুনাম ভেস্তে যাবে। শিক্ষার্থীরাও এ কলেজে পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। দ্রতই কলেজে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জোড় দাবি জানান সবাই।
বিশেষ প্রতিনিধি