সন্ধ্যারাতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়াস্থ গ্রামের এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট ছুরিকাঘাত ও শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ বাপ্পি নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। সে তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের নাড়– গোপালের ছেলে। দায়ের করা মামলায় আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুন্না,আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে পাপ্পু, নজরুল ইসলামের ছেলে বিশাল, নারু গোপালের ছেলে বাপ্পি,সুলতানপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে দীপু ওরফে ডেঞ্জার দীপুসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭জন।
সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে লিয়াকত হোসেন উল্লেখিত আসামীদের নাম উল্লেখ করে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে দায়েরকৃত মামলায় বলেছেন,তার ভাই আকরাম হোসেন (৫০) এর বাড়িতে শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় আকরাম হোসেনের ভাইরাভাই পালবাড়ী পুরাতন খয়েরতলা মাসুদ রানার ছেলে লিটন,তপু, বিয়ান জানু, ভাইরা ভাইয়েরর ছেলে লিটনের স্ত্রী পূর্ণিমা বেড়াতে আসে। পরে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তারা তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের বিপ্লবের বাড়ির সামনে পৌছালে উল্লেখিত আসামীসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামীরা লিটনের স্ত্রী পূর্ণিমাকে দেখে ইভটিজিং করে। ইভটিজিং করার কারণে আসামীদের সাথে লিটন,তপু,জানু ও পূর্ণিমার কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে গোলযোগ দেখে স্থানীয় লোকজন মিমাংসা করে তাদেরকে পূনরায় আকরাম হোসেনের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। পরে ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ৯ টার পর উল্লেখিত আসামীসহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগী আসামীরা হাতে লাঠি সোটা ও অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আকরাম হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় লিটন,তপু,জানু,পূর্ণিমা,আকরাম হোসেন, ভাইপো সাগর,আকরাম হোসেনের স্ত্রী আছমা ও বাড়ির ভাড়াটিয়া আমিনুরদের উপর আক্রমন চালায়। আসামীদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে মুন্না ধারালো চাকু দিয়ে আমিনুর রহমানকে আঘাত করে। দীপু ওরফে ডেঞ্জার দীপু লিটনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পাপ্পু সাগরের শরীরে ছুরিকাঘাত করে। বিশাল আকরাম হোসেনকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাপ্পি তপু ও পূর্ণিমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। দিপু পূর্ণিমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। মুন্না জানু, আছমা ও পূর্ণিমার কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। হামলায় চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। উক্ত ঘটনায় স্থানীয় লোকজন সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া (সুমনের দোকানের মোড়) মৃত খন্দকার মফিজউদ্দিন ওরফে জাহাঙ্গীরের ছেলে খন্দকার আলীমকে রোববার সকালে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অপরদিকে, রোববার দুপুরে উক্ত ঘটনায় তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা এজাহার নামীয় আসামী বাপ্পিকে গ্রেফতার করে।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -