যশোর জেল রোডের বন্ধন হাসপাতালে সিজারিয়ান রোগী ময়না বেগম মৃত্যু ঘটনায় করা মামলায় এক চিকিৎসকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত আসামিরা হলো বন্ধন হাসপাতালের চিকিৎসক খুলনা ডুমুরিয়ার নরনিয়া গ্রামের মৃত অশ্বিনী কুমার কুন্ডুর ছেলে ডাক্তার পরিতোষ কুমার কুন্ডু, শার্শার শিকারপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে, বন্ধনের ম্যানেজার আকরামুজ্জামান ও কুইন্স হাসপাতালের নার্স ও পুলিশ লাইন টালিখোলার শাহ আলম জনির স্ত্রী সুরাইরা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হায়াৎ মাহমুদ খান। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের পালবাড়ি গাজীরঘাট থেকে ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রী ময়না খাতুনকে গর্ভবতী অবস্থায় কুইন্স হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কুইন্স হাসপাতালের নার্স সুরাইয়া খাতুন তাদের ভালো চিকিৎসার কথা বলে সামনের বন্ধন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ময়না বেগমকে দুইটি পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক পরিতোষ জানান বাচ্চা ভালো আছে। বন্ধনের ম্যানেজার এসে তাদের জানান রাতে সিজার না করলে বাচ্চা মারা যাবে। ইসমাইল হোসেন সিজির করাতে রাজি না হলেও রাতে ম্যানেজার-চিকিৎসক জোর করে ময়না বেগমকে নিয়ে ওটিতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন ময়না বেগম। এ সময় ওটি থেকে শিশুটিকে ইসমাইল হোসেনের হাতে দিয়ে চিকিৎসক বাইরে চলে যান। এরপর ময়না বেগমকে ওয়ার্ডে এনে রাখা হয়। কিছু সময় পর ময়না বেগমের খিচুনি শুরু হয়। অক্সিজেন দেয়া হয় ৪০ মিনিট পর। বন্ধনের নার্স দ্রুত এক ব্যাগ রক্ত এনে দিকে বলেন স্বজনদের। ফিরে এসে দেখে ময়না বেগম মারা গেছে। তারপরও রক্ত দেয়া হয় ময়নাকে। এরমধ্যে চিকিৎসক এসে একটি অ্যাম্বুলেন্স এনে রোগী দ্রুত খুলনা নিয়ে যেতে বলেন। এরমধ্যে স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে চিকিৎসক ও ম্যানেজার স্বীকার করে ময়না বেগম মারা গেছে। চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন ময়না বেগমের স্বামী ইসমাইল হোসেন।
রাতদিন সংবাদ
জেলরোডের বন্ধন হাসপাতালের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসক-ম্যানেজার সহ তিনজন অভিযুক্ত
- Advertisement -
- Advertisement -