জামিন পেতে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাবিননামা তৈরী করে এক শিক্ষিকাকে স্ত্রী দাবি করায় আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মণিরামপুরের জিএম বাবু সহ ৫জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার ওই গৃহবধূ যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের হানুয়ার কলেজপড়ার মৃত ইরফান আলী গাজীর ছেলে বাবর আলী গাজী ওরফে জিএম বাবু, রামনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ, মোবারকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক দাড়িয়ার ছেলে আব্দুল হালিম, মনোহরপুর গ্রামের মৃত ইমান আলী গাজীর ছেলে আবুল বাসার ও ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলা শহরের মৃত আমির হামজার ছেলে সাইফুল ইসলাম।
মামলার বাদী মণিরামপুর এলাকার একটি প্রাইমারী স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা। ২০১৪ সালে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে রাজগঞ্জ এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। বাবু ওই শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় বর্তমানে বাবু জেলহাজতে আটক রয়েছে। কিন্তু মামলায় জামিন নিতে জালজালিয়াতির মাধ্যমে বাবু ওই শিক্ষিকাকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেছেন বলে একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরী করে আদালতে উপস্থাপন করে। ওই কাবিননামায় গত ১৩ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে বিষয়টি জানতে পারেন ওই শিক্ষিকা। এছাড়া মণিরামপুরের চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও নিয়েছেন একটি প্রত্যয়ন পত্র। সেখানে বাবু ওই শিক্ষিকার স্বামী বলে পরিচয় দিয়েছে। এভাবে একের পর এক উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ওই শিক্ষিকার সাথে প্রতারনা চালিয়ে আসছে বাবু। বিষযটি জানার পর ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রতারনা মূলক ভাবে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে বাবু হাতিয়ে নিয়েছে সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ওই টাকা দিয়েও বাবু মোটরসাইকেলেল শো-রুম এবং ক্যাবল অপারেটরের ব্যবসা করছে।
রাতদিন সংবাদ