বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলার বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবৈধ কমিটির মাধ্যমে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময়ে বিদ্যালয়েটিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে এই বিষয়টির প্রতিকার পেতে বিদ্যালয়টির কমিটি বাতিলের দাবিতে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেছেন নাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদ খালি ছিল। প্রধান শিক্ষক ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য করতে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে তার মনোনীত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। তাদের অভিভাবক প্রতিনিধি দেখানো হলেও তারা বিদ্যালয়টির কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবক নন।
রবিবার দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি দিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্য করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ড গঠনের সময়ও প্রধান শিক্ষক প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। রামকৃষ্ণপুর গ্রামের তৈয়েবুর রহমান বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ায় তাকে অভিভাবক সদস্য দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ডে রাখেন। যদিও তৈয়েবুর রহমানের কোন সন্তান ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না।শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে করা আবেদনে নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য গঠিত এই অবৈধ কমিটি বাতিলের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সভাপতি হবিবর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষকই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। তার সাথে কথা বলেন। আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।’প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে নানা ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। সবকিছু মাথায় নিয়েই কমিটি গঠন করতে হয়। তবে নিয়োগ বাণিজ্যের কোন ঘটনা ঘটেনি।যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে। প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।