Saturday, September 14, 2024

খবির উর রহমান কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সহ ১৩ জনের নামে অধ্যক্ষের মামলা

- Advertisement -

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর খবির-উর-রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুর রহমান তাকে অবৈধভাবে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগে এনে সোমবার আদালতে মামলা করেছেন। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সহ ১৩ জনকে বিবাদী করে বাঘারপাড়া সহকারী জজ আদালতে তিনি এই মামলা করেন। বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পরিচালনা পরিষদ সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটেয়ারীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন। একই সাথে সাত দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব দিতে বলেছেন।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুর রহমানের অভিযোগ, ২০০২ সালের ১৬ মার্চ পরিচালনা পরিষদ সরকারি বিধি অনুসরণ করে তাকে খবির-উর-রহমান কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই থেকে তিনি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এই পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তাকে যে কোন উপায়ে বরখাস্ত করে তদস্থলে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এ কারণে তিনি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে কলেজের নানা কাজে বাঁধা সৃষ্টি করতে থাকেন। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ সময় সভাপতি ও তার সহযোগীরা অধ্যক্ষকে শারীরিক নির্যাতনসহ নানাভাবে অপমান করতে থাকেন। ফলে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ১৫ জুন অধ্যক্ষ সভাপতির বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। পরে ইউএনও গঠিত একটি কমিটি তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পায়। এরই মধ্যে গত ২৮ জুন সভাপতি তার পক্ষীয় সদস্যদের নিয়ে বেআইনিভাবে একটি সভা করেন। পরদিন ২৯ জুন সভাপতি অনুরূপ বেআইনিভাবে অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেন। অধ্যক্ষ এর জবাব দিলেও গত ২৬ জুলাই তাকে দ্বিতীয় দফা কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। এরপর গত ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ লিখিতভাবে তার জবাবও দেন। কিন্তু এই জবাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে তাকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে অপসারণের জন্য ২৩ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত করেন সভাপতি, যা বেআইনি। কারণ, সভাপতি যে স্মারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন তা ভুয়া।

উল্লেখ্য, বাঘারপাড়ার খবির উর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই দন্দ্ব চলে আসছে। বিভিন্ন মাধ্যমে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য ছোড়াছুরি চলছে।হচ্ছে মামলা পাল্টা মামলা। এরমাধে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সাথে একই প্রতিষ্ঠানের এক নারী প্রভাষকের মোবাইল ফোনে কথোপকথনের কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তাতে ওই প্রভাষককে অধ্যক্ষ অশ্লীল আবেদন জানান। যা এখন কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীতের ফোনে ফোনে। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি এভাবে চলতে থাকলে খুব শিঘ্রই এ কলেজের সুনাম ভেস্তে যাবে। শিক্ষার্থীরাও এ কলেজে পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। দ্রতই কলেজে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জোড় দাবি জানান সবাই।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত