মোঃজাকির হোসেন, কেশবপুরঃ কেশবপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এ জয়দেব চক্রবর্ত্তী তিন ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও লোকসমাজ এ কর্মরত। তার প্রতিদ্বন্দী সমকাল ও গ্রামের কাগজে কর্মরত মোতাহার হোসাইন ২১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়া সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দি না থাকায় আশরাফ উজ জামান একক প্রার্থী হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই প্রেসক্লাব অঙ্গনে উৎসবের আমেজ দেখা যায়। সভাপতি পদে নির্বাচন না হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদই মুলত নির্বাচনের প্রধানেআমেজে পরিণত হয়। দুজনেই আশাবাদী ছিলেন বিজয়ী হবেন তবে শেষ সময়ে এসে জয়ের মুকুটটা পেলেন জয়দেব।সকাল ৯টা থেকে বিরতীহীন দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। ৫৫ জন ভোটারের মধ্যে ৫১ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেনে। ১৫ টি পদের মধ্যে ১১ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে সহ সভাপতি ২ পদে আব্দুস সাত্তার মোল্যা ( দৈনিক সংগ্রাম) ৩১ ভোট ও আব্দুল হাই সিদ্দিকী ৩০ ভোট দৈনিক নয়াদিগন্ত/পুর্বাঞ্চল) নির্তাাচিত হয়েছেন। এ পদের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রহুল কুদ্দুস(ইনকিলাব) পেয়েছেন ২৫ ভোট।যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুই পদে উৎপল দে ৩১ ভোট (দৈনিক প্রতিদিনের কথা দৈনিক জনবাণী) ও এম আর মঈন ২৭ ভোট (দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দী আব্দুল মজিদ ১৮ ভোট(ভোরের পাতা) ও আব্দুর রহমান ১৬ ভোট(মানবজমিন) পেয়েছেন। গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মতিয়ার রহমান ২৩ ভোট(দৈনিক অনির্বাণ)পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী শাহিনুর রহমান (ভোরের ডাক) পেয়েছেন ২১ ভোট। সদস্য চার পদে নুরুল ইসলাম খান (কালের কন্ঠ) ৪০ ভোট, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ(গ্রামের কাগজ) ৩৩ ভোট, কে এম কবীরহোসেন (জনকন্ঠ) ২৯ ভোট ও আব্দুর রাজ্জাক ২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী একে আজাদ ইকতিয়ার( প্রজন্মের ভাবনা)২৫, ও আব্দূল করিম(তৃতীয়মাত্রা) ২৫, আমিন বিশ্বাস (দৈনিক জনতা)২৩ভোট, ভোট পেয়েছেন। এদিকে নির্বাহী কমিটির ৫ টি পদের একটি পদে সমান সংখ্যক ভোট হওয়ায় অমিমাংশিত হওয়ায় একটি সদস্য পদ ফলাফল স্থগিত হয়। উল্লেখ্য, সভাপতি পদে আশরাফ উজ জামান খান সহ দপ্তর স¤পাদক মশিয়ার রহমান, কোষাধ্যক্ষ শামসুর রহমান ও ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক স¤পাদক পদে শেখ শাহীন একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় তারা নির্বাচিত হয়েছেন।