Saturday, September 14, 2024

কেশবপুরে রাত পোহালেই ভোট, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে ভোটগ্রহণ

- Advertisement -

রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। এদিন (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে ভোটগ্রহণ। স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্টরা। আর নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী আগের দিন সব ধরনের প্রচার-প্রচারণাও শেষ হয়েছে। গত রোববার রাতে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।তবে বিএনপি এই উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক অংশ নিচ্ছে না। যার কারণে এ আসনটিতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি।
এলাকার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরেই আবারো সরব হয়ে ওঠে যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনটি। নিজ নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক, পথসভা এমনকি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র ছেয়ে গেছে পোস্টার, ফেস্টুন আর ব্যানারে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, দলের দুঃসময়ে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ভূমিকা রেখেছি দলকে সুসংগঠিত করার। কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে সকল বিভেদ ভেঙে ঐক্যবদ্ধ করেছি। দলের প্রতি শ্রম ও ত্যাগের মূল্যায়ন হিসেবে আমার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৪ জুলাই ভোটের দিন আমার তথা শেখ হাসিনার নৌকাকেই বেছে নেবেন মানুষ। নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক। বিজয়ী হয়ে উপজেলাটিকে উন্নত, আধুনিক ও বাসযোগ্য জনপদ হিসেবে গড়ে তুলব। প্রচার-প্রচারণা শেষ হলেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তারপরও করোনা পরিস্থিতি ভোটের মাঠে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, আমার বিশ্বাস, এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা আসবেন। সরকারের সকল উন্নয়নের সফলতা দেখে নৌকার বিজয় অব্যাহত রাখবেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ভোটাররা এখন অনেকটা সজাগ হয়েছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা মাঠে কাজ করছে। ভোট সুষ্ঠু হলে তার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
জানা গেছে, ভোটারদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার সব ধরনের ব্যবস্থা রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। সেইসাথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনও করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারও ভোটারের মাঝে ১ লাখ ৯০ হাজার ৬৯০ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরাও এদিন ভোটের মাঠে সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকছে। নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিসিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৮টি মোবাইল টিম ও ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের ৬টি টিম নির্বাচনের মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হবে। এছাড়া ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক মারা যান। মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও তার এক সপ্তাহ আগে করোনার কারণে ২২ মার্চ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত