যশোর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ করোনামুক্ত হয়েছেন। টানা ১১ দিন হাসপাতালে থেকে করোনার সাথে যুদ্ধ জয়ী হয়ে সোমবার তিনি করোনা মুক্ত হয়ে লেবুতলায় নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। এরআগে গত ২০ আগস্ট তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। ১৮ আগস্ট যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে করোনা পরিক্ষা করলে পজেটিভ ফল আসে। ২০ আগস্ট তাকে বক্ষব্যাধী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রচন্ড ভেঙ্গে পরেছিলেন। মৃত্যুর ভয় জেঁকে বসেছিলো তাকে। রাত হলেই আগামি সকালটা তার কপালে জুটবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগতেন । একদিকে শারীরিক যন্ত্রণা অপর দিকে মানুসিক দুশ্চিতায় কোনো কোনো সময় নিজেই সুন্দর এ জীবনকে সপিয়ে দিতেন মৃত্যুর কোলে। যদিও সেটা ছিলো তার কল্পনায়। তবে বাস্তবে অনেকেই তাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন প্রতিনিয়ত। স্বপ্ন দেখিয়েছেন নতুন জীবনের। তাদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম অন্যতম বলে জানান মি.কালাম । তিনি আরো জানান, যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, সদর উপজেলা যুবদলের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী, আব্দুর রাজ্জাক, যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রতন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি সহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ তার বিপদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন। সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাতদিন সংবাদ