যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের অধিনে এ বছরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এইচএসসি পরীক্ষার সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন রাখা হয়েছে। এ বছর যশোর বোর্ডের অধীনে ১লাখ ২১ হাজার ৫শ’ ১৪ জন পরীক্ষার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র। এ বছর অত্র বোর্ডের অধীনে ৫শ’ ৭৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৬১ হাজার ৭শ’ ৬৫জন ছেলে ও ৫৯ হাজার ৭শ’ ৪৯জন মেয়ে অংশ গ্রহন করবেন। এ বছর ২২৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা চুড়ান্ত করলেও করোনা পরিস্থিতির কারনে তা বাড়তে পারে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র আরো জানান,ইতিপূর্বে অত্র বোর্ডের অধীনে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্ন চলে গেছে । যে গুলো সরকারী ট্রেজারীতে রাখা হয়েছে। অত্র বোর্ডের অধীনে যশোর ও ঝিনাইদহ জেলা বাদে ৮টি জেলায় ইতিপূর্বে পরীক্ষা গ্রহনের খাতাপত্রসহ সকল সরাঞ্জাম পৌছে গেছে। বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে যশোর জেলা ও ঝিনাইদহ জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রে খাতাসহ অন্যান্য সরাঞ্জাম পৌছানোর কাজ। আগামী রবিবারের মধ্যে এই দু’টি জেলায় চুড়ান্ত এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সরাঞ্জাম পৌছে যাবে বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য সিট প্লান অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে। একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী বসার ব্যবস্থা না হলে পার্শবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা গ্রহনের ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা মনে করলে কেন্দ্র সচিবগন বোর্ডের অনুমতি ইতিপূর্বে চাইলে তা ব্যবস্থা করা হবে। এবার সিট প্লান করোনা ভাইরাসের কারণে একটি বেঞ্চে একজন কিংবা একজন পরীক্ষার্থী থেকে অন্য পরীক্ষার্থীর দূরত্ব ৩ ফুট রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে একটি বৈঠক বসার কথা ছিল। বৈঠকে এবছর এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহনের প্রস্তুুতিসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক আলোচনা হওয়ার কথাছিল। যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র আরো জানান,শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক সিদ্ধান্তক্রমে এবছর এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহনের সকল প্রস্তুুতি রাখা হয়েছে। পরীক্ষার সময় সূচীর অপেক্ষায় সবাই।