Monday, September 16, 2024

আমাকে কেউ পাচার করেনি, মা মিথ্যা মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে

- Advertisement -

আমাকে কেউ পাচার করেনি। আমি নিজে থেকে শুভেন্দুকে বিয়ে করেছি। পরে সরকারী কর্মচারী শুভেন্দুর কাছে চলে এসেছি। অভয়নগরে তার মা পাচার হয়েছে বলে যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা মিথ্যা দাবি করেছেন অভয়নগর উপজেলার হিদিয়া গ্রামের শুভেন্দুর স্ত্রী ও একই গ্রামের কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের মেয়ে চম্পা বিশ্বাস। বুধবার বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরো বলেন,  দুজনের সন্মতিতে গত ৯ আগস্ট তারা বিয়ে করেছেন। পরে তারা যশোর শহরের শেখহাটি এলাকায় বসবাস করছেন। এছাড়া গত ১১ সেপ্টেম্বর তার স্বামীর নামে যশোর আদালতে যে মামলা করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে চম্পা আরো বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার মা যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তার কোনো ভিত্তি নেই। মুলত তার চাচা সুশান্ত কুমার বিশ্বাসের ষড়যন্ত্রে এ ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সাথে রয়েছেনএকই গ্রামের সুকান্ত দাস, সমীর দাস, হিরামন বিশ্বাস, ইছামতি গ্রামের মন্টু বিশ্বাস ও বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুল্লা গ্রামের সুভাষ বিশ্বাস। চম্পাকে সুশান্ত ভারতে পাচার করতেই এধরণের অপ্প্রচার দাবি চম্পার। তিনি আরো বলেন সুশান্ত বিশ্বাস নিজে ভারতে অর্থ ও মানব পাচার করে। তার ভারতে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে যার কোনো উৎস নেই। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার ছোট বোন বন্যা বিশ্বাসকে ভারতে পাচার করেছে সুশান্ত।এর দায় এখন তার স্বামী শুভেন্দুর উপর দিতে অপচেষ্টা করছেন তারা। এসব বিষয় নিয়ে  এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চম্পা ও তার স্বামীর পরিবার। এমতাবস্তায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।একই সাথে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে মায়ের করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানান চম্পা। সংবাদ সম্মেলণে চম্পার স্বামী শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ, গত  শনিবার সকালে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চম্পার মা  দাবি করেন গত ১১ আগস্ট চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে চম্পাকে ভারতে পাচার করেছে শুভেন্দু। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে শুভেন্দু ভুষণ আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বিভিন্ন সময় চাকুরীরর প্রলোভন দেখাতো শুভেন্দু।আজ বুধবার মেয়ে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি পাচার হননি।স্বেচ্ছায় শুভেন্দুকে বিয়ে করে বাড়ি থেকে চলে এসেছেন।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত