ভন্ড ও প্রতারক আখ্যায়িত করে মনিরামপুর উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের সুন্দ্রা গ্রামের পারভিনা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সুন্দ্রা ও অত্র এলাকার সচেতন এবং ভুক্তভোগী নাগরিক সমাজ।
রবিবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ঘন্টা ব্যাপী চলে এ মানববন্ধন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের লেদুগাতি গ্রামের ওমর ফারুক কাবিলা, সুন্দ্রা গ্রামের রাফেজা বেগস, গয়েশপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ও একই গ্রামের সাজেদা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন, স্ত্রী পারভিনা খাতুন ও মেয়ে আকলিমা খাতুন বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে সুকৌশলে আসামীগণ ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারী থেকে স্থানীয়ভাবে মহিলাদের ডাকে এবং একটি ‘মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ স্থাপনের উদ্দেশ্যে সভার কার্যবিবরণী মতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাদ্রাসা নির্মাণের উদ্দেশ্যে চাঁদা ধরা ও আদায় এবং তিন বছরে তিনটি মাহফিলের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আমাদের নিকট হতে সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া প্রত্যেক মৌসুমে ধান এবং চাল উত্তোলন করা হয় ৬০-৭০ মণ। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবৎ দান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এমন্ত অবস্থায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দান করবে মর্মে স্বীকারোক্তি মতে সুন্দ্রা মৌজায় প্রস্তাবিত মাদ্রাসাটি স্থাপন না করে সংগ্রহকৃত অর্থ আত্মস্বাৎ করার চেষ্টা করিতেছে। এই ধর্মব্যবসায়ী আত্মগ্রাসী মহিলাকে উক্ত মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা স্থাপনে বিলম্বের কথা জিজ্ঞাসা করলে বিভিন্ন সময় হুমকিসহ মিথ্যা মামলার অভিযোগ করবে মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেছে। বিষয়টি নিয়ে সবশেষ চলতি বছরের ২১ সেপ্টম্বর আমরা তার বাড়িতে গিয়ে মাদ্রাসা স্থাপন না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি মাদ্রাসা নির্মাণ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তার এই আত্মঘাতী মূলক কথা শুনে আমরা হতবাক হয়ে তার নিকট আমাদের জমাকৃত অর্থ ফেরত চাইলে সে এবং তার সঙ্গীরা দা-কুড়াল, লাঠিসহ দেশী তৈরি বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে এবং তৎক্ষণাৎ আমরা প্রাণ ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, গয়েশপুর গ্রামের সাজেদা বেগম, নাদিরা সুলতানা, চম্পা খাতুন, রুপা খাতুন, সুন্দ্রা গ্রামের আশুরা বেগম, ঝর্ণা বেগম, আসমা খাতুন, জেলেখা খাতুনসহ গ্রামের প্রায় ২‘শ ভুক্তভোগী।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১০
- Advertisement -