এইচ এম শহিদুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ফেরিতে সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অতিরিক্ত টোলআদায় বন্ধ ও সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের দাবীতে বাগেরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে একাধিক বার আবেদন করেও ভূক্তভোগীরা প্রতিকার পাচ্ছেনা না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগ ফেরি দিয়ে মোট ১৩ ধরনের যানবাহনের যাতায়াতের জন্য টোল নির্ধারণ করে দেয়। এর মধ্যে ট্রেইলার ২৫০ টাকা, ভারী ট্রাক ২০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ১০০ টাকা, বড় বাস (৩১ আসনবিশিষ্ট) ৯০ টাকা, মিনি ট্রাক ৭৫ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ৬০ টাকা, মিনিবাস ৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ৪০ টাকা, পিকআপ, জিপ ৪০ টাকা, সিডার কার ২৫ টাকা।
এ ছাড়া তিন ও চার চাকার মোটরাইজড যান (অটো, টেম্পো, সিএনজি, অটোরিকশা, অটোভ্যান) ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান বাইসাইকেল ও ঠেলাগাড়ি পাঁচ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
এদিকে সড়ক বিভাগের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা মানছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফেরি পারাপারে প্রতি যানবাহনে বেশি টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। বিকল্প পথ না থাকায় চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা অনেকটাই জিম্মি ফেরি ইজারাদারের কাছে।
পরে (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় মোরেলগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নিয়ে সচেতন ছাত্র সমাজ ঘটনা স্থানে যান এবং ফেরি কতৃপক্ষের অনিয়ম তুলে ধরেন। এ সময় দেখা যায় সওজ সড়ক বিভাগের দেওয়া টোলের তালিকাও ছিড়ে ফেলেছে। ছাত্রদের জেরার মুখে ফেরি কতৃপক্ষ তাদের অনিয়ম স্বীকার করেন এবং পরবর্তী সময় থেকে সরকার নির্ধারিত টোলই নেওয় হবে বলে যানান।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জসহ বিভিন্ন ফেরিঘাট ও সেতুর ইজারাদারদের সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত কেউ আদায় করতে পারবে না।
আর কে-১১