এঘটনায় দোষিদের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছে মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার উপজেলা চত্বরে এই মানববন্ধন সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।
মাসববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পরিবারের পক্ষ থেকে স্মারকলীপি প্রদান করেন ভুক্তভোগী পরিবার। চিকিৎসায় অবহেলা ও অপ-চিকিৎসার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাসপাতাল রোড ক্লিনিক পাড়া এলাকার আল মদিনা প্রাঃ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে। নিহত রাফসানের মা নাসরিন বলেন, আমি নাজমুল হুদাকে ডাক্তার হিসাবেই জানতাম। যেকারণে তার কাছ থেকেই চিকিৎসা সেবা নিতাম। গত ২৯ আগস্ট প্রসব বেদনা উঠে এসময় পরিবারের লোকজন আল-মদিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তারা সন্ধ্যা ৭টায় ভর্তি করেন। এর কিছু পরে নাজমুল হুদা আমার আলট্রাসনোগ্রাম করে বলেন আজই সিজারিয়ান অপারেশনের করতে হবে না হলে বড়-ধরণের সমস্যা হয়ে যাবে। তখন আমার পরিবারের সদস্যরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ওই রাতেই অপারেশন করাতে বলেন। এদিকে নিহত রাফসানের ফুফু জেসমিন বলেন অপারেশন করানোর পর বাচ্চার অবস্থা ভালো ছিলো। রাতে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে বারবার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায় না। হাসপাতালের নার্স বলে সকালে নাজমুল স্যার আসবে। এখন রাতের যে চিকিৎসা দিয়ে গেছে তাই চলবে। এর পর সকালে আরোও খারাপ হয়ে যায়। সকাল ১১টার কিছ পর নাজমুল হুদা আসেন বাচ্চা দেখে ঔষদের নাম বলেন নার্স সেই ভাবে লিখে দেয়। আমি ঔষধ নিয়ে আসলে তা নার্স পুশ করে। এর পরপর বাচ্চার গায়ের বর্ণ কালচিটে হয়ে যেতে থাকে। পরিস্থিতি খারাপ বুঝতে পেরে নাজমুল তখন ডাক্তার কেরামত আলী কে ডাকেন। তিনি আসার পর বাচ্চাকে ওটিতে নিয়ে আবারও ইনজেকশন পুশ করেন এর পর থেকে বাচ্চার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ তরিঘরি করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন আর রাফসান হোসেনের ছাড়পত্র দিয়ে বলেন খুলনায় নিয়ে যা-ও। খুলনা নেওয়ার পথে দৌলতপুর এলাকায় গেলে তার মৃত্যু হয়। মৃত রাফসান হোসেন কে নিয়ে আল-মদিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে আসলে তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে তারিয়ে দেয়। আমরা জানতে পারি ইতিপূর্বে নাজমুল এমন ঘটনা অনেক ঘটিয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মৃতের পরিবারের লোকজন ও এলাকার অধ্শত ব্যক্তি।
আর কে-০৬
- Advertisement -