উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা প্লাবিত হয়। এর মধ্যে এসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এতেও কমেনি মানুষের কষ্ট, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার মানুষজন।
তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় দহগ্রাম ইউনিয়নের ৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর। বন্যাদুর্গত এলাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ও শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে পানিতে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ১০টার পর থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দহগ্রাম ইউনিয়নের চর নতুনবাজার পশ্চিমবাড়ি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, তিস্তাপাড়ে অসময়ে বন্যা পরিস্থিতিতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ঘরের ভেতর এখন ২/৩ ফুট পানি। বানের পানি নামছে। পানি নামার পর দেখা দিবে নদীভাঙন। আমন নিয়ে চিন্তিত নন তারা। তবে পানির নিচে তলিয়ে থাকা শাক-সবজি নিয়ে চিন্তিত। ‘আলেমদের যারা নির্যাতন করেছে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই’
লালমরিহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, তিস্তাপাড়ে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আশা করি দ্রুতই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
অনলাইন ডেস্ক।