চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধিঃ শুক্রবার বিকালে যশোর সদরের চুড়ামনকাটি বাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতায় পদত্যাগকৃত সরকার শেখ হাসিনার পলায়নে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ও জামায়াতে ইসলামী আনন্দ মিছিল করে। মিছিল শেষে চুড়ামনকাটি বাজার বাস স্ট্যান্ডে একত্রিত হয়ে জামায়াতের নেতারা সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামের ইউনিয়ন আমীর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, খুন, গুম, হামলা ও মামলার সরকার শেখ হাসিনার পতনে আনন্দ মিছিল বের হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সদর থানার উত্তরের জামায়াতের ইসলামের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম কল্লোল বলেন, আমরা কোন অত্যাচার নির্যাতন ও হামলা মামলার প্রতিবাদ চাই না। আমরা চাই সকলে একত্রে এসে লাল সবুজের পতাকা তলে রেশারেশি ভুলে বসবাস করি। আমাদের কাছে আমাদের মসজিদ যেমন পবিত্র স্থান তেমনি অন্যান্য ধর্মের কাছে তাদের উপাষনালয়ে তাদের শ্রেষ্ঠ স্থান। সুতারাং আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের যেমন আগলে রাখবো তেমনি তাদের ধর্ম উপাষনালয়ও আগলে রাখবো।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সদর থানার উত্তর জামায়াতের ইসলামের সুরা সদস্য আহবায়ক আলমগীর সিদ্দিক তিনি বলেন, পিল খানা আরমি অফিসার হত্যা, হেফাজতে ইসলামের আলেম হত্যা ও ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার হত্যায় আওয়ামীলীগের হত্যা একটা নেশা ও পেশা হয়ে উঠেছিল। সেই নেশাকে পুজি করে তারা ছাত্র জনতাও হত্যা করেছে। যার জবাব ছাত্র জনতা আওয়ামীলীগকে ৫ তারিখে দেখিয়ে দিয়েছে।
প্রধান অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সদর থানার উত্তর শাখার জামায়াতের ইসলামের আমীর অধ্যাপক আব্দুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সরকার নির্বিচারে ছাত্রদের উপরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও সরকারী বাহিনী দ্বারা গুলি বর্ষণে বহু ছাত্র নিহত হয়। গুলি বর্ষণে ছাত্র নিহতকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন থেকে রুপ নেয় ছাত্র জনতার আন্দোলন। ছাত্র জনতার আন্দোলনে সকলের দাবী কোট সংস্কার নয় দেশ সংস্কার চাই। দেশ সংস্কার আন্দোলনে বাংলার মানুষ দেখলো নতুন রুপে এক রক্তাক্ত লাল সবুজের পতাকা।
আমরা ছাত্র জনতার এই রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তাদের রক্তের বিনিময়ে যেন বাংলাদেশ একটি জবাবদিহি মূলক রাষ্ট্র গঠন হয় সে ক্ষেত্রে আমরা সর্বত্র চেষ্ট করবো। এছাড়াও জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
আর কে-০২