নানা মহলে আলোচনা সমালোচনা চলছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ আসলে এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতি করতে পারে কিনা তা নিয়ে নানা কথাও ঘুরপাক খাচ্ছে।
গত ১৯ আগস্ট সারডা সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একটি রিট করেন। তবে আদালত তার এ রিট বাতিল করে দেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংবিধান অনুসারে সংগঠন করার স্বাধীনতা আছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল ছিল আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে দলটির অবদান ছিল। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না। আসিফ নজরুল বলেন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আওয়ামী লীগের অবদান ছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে দলটি যা করেছে তা তাদের ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। দলটির এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত বা নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে। কিন্তু এজন্য আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই এ বিষয়ে একটি সমাধান আসবে। এরমধ্যে আমরা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যমত্য পৌঁছাতে পারি।
অনলাইন ডেস্ক।