সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এ সময় এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ৪ অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল থেকে এসব ঘোষণা করা হয়।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা, বাড়ি-ঘর-মন্দির, দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশত্যাগের হুমকি, সীমান্ত হত্যার বিচার এসব অভিযোগ তুলে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান এবং পূর্ব ঘোষিত ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ৮ দফা দাবি
১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে;
২. অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে;
৩. ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে;
৪. হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে;
৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে;
৬. সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেল প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে;
৭. ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে;
৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি দিতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক রনি রাজবংশী বলেন, গত ১৩ আগস্ট নতুন সরকারের কাছে যখন দাবি জানানো হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল এসব দাবি যৌক্তিক। তবে সেগুলো মেনে নেওয়া বা কার্যকর করার কোনও কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এখনও কেউ এই বিষয়ে আলোচনা করেনি। এ জন্য আগামী ৪ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে বলে জানান তিনি।
-অনলাইন ডেস্ক