ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন সেনাবাহিনী প্রধান গণমাধ্যমকে বলেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ ছয় সপ্তাহ পর সেই পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই পদত্যাগপত্রটিকে ভুয়া বলে দাবি করেছে দেশের অন্যতম ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই পদত্যাগপত্রে দেখা গেছে, এটি গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি এক অডিও কথোপকথনও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবাই নারী কণ্ঠকে শেখ হাসিনা দাবি করেছেন। অডিওতে বলা হচ্ছে, তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ না করেই দেশ ছেড়েছেন। যেকোনো মুহূর্তে আবার দেশে ঢুকে পড়বেন। তিনি পদত্যাগ করেননি, তিনি এখনো বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ফটোকার্ড শেয়ার করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, ‘ভাইরাল হওয়া শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রটি ভুয়া।’ প্রতিষ্ঠানটি ফ্যাক্ট চেকিং করে জানায়, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দাবিতে ভাইরাল হওয়া চিঠিতে বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। চিঠিতে ইংরেজি ৫ আগস্টকে বাংলা ২০ শ্রাবণ উল্লেখ করা হলেও সেদিন ছিল বাংলা ২১ শ্রাবণ।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ‘সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্যাডে তারিখের ঘরে বাংলা তারিখ ওপরে থাকলেও এখানে ইংরেজি তারিখ ওপরে রয়েছে। তা ছাড়া চিঠিতে বিভিন্ন বাক্যে ব্যবহৃত যতিচিহ্ন ‘।’ মোবাইলে টাইপ করা, যা এর গঠন দেখে স্পষ্ট।’
এদিকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পদত্যাগপত্রটি ভুয়া বলে দাবি করে বলা হয়েছে, ‘দেশের মিডিয়াকে এ রকম নগ্নভাবে ব্যবহার করে নিজেদের হাসির পাত্র বানাবেন না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার যে আনুষ্ঠানিকতা সেই সময় নেননি। তিনি সোজা তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে গেছেন। এসব বাদ দিয়ে বরং দেশের সমস্যা সমাধান করুন।’
কেন পদত্যাগপত্রটি ভুয়া, তার কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ বলেছে, ‘পদত্যাগপত্রে তারা ভুলে এখনও মুজিব বর্ষ লোগো লাগিয়ে রেখেছে, যেই মুজিব বর্ষ ২০২১ সালে শেষ!’
গত ৫ আগস্ট দুপুরে বোন রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। আর সেখানেই বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন।
অনলাইন ডেস্ক