শ্যামল দত্ত, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় ২০২৪ সালের জুলাই -আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মরণ সভা সভা অনুষ্ঠিত হয় । অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন যশোর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট কমোলেশ মজুমদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে৷ বক্তব্য দেন, চৌগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান, চৌগাছা থানার ওসি তদন্ত কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম, উপজেলা জামায়াতের আমির মাও.গোলাম মোরশেদ, ইসলামী শাসনতন্ত্রের চৌগছা উপজেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা আওয়ালীয়ার, উপজেলা জামাদের সেক্রেটারি নুরুজ্জামান, সহকারি সেক্রেটারি কামাল আহমেদ, পৌর আমির আব্দুল খালেক। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাশেদুল ইসলাম রিতম, জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে শহীদ আলামিনের বাবা আনোয়ার হোসেন বাবু।
স্মরণসভায় উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারি, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাত্র, আন্দোলনে আহত, আহত পরিবারের সদস্য, নিহত পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রে কমোলেশ মজুমদার তার বক্তৃতায় বলেন, শহীদ আলামিনের পরিবারের জন্য জমিসহ সকল সুবিধা দেওয়া হবে। শহীদ আলামিন চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামে আানোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। আলামিনের বাবা স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার ভিটে বাড়িও নেই। আমি ভ্যান চালিয়ে, ফেরি ব্যবসা করে ছেলেকে লেখা পড়া শিখাচ্ছিলাম। ছেলে অনার্স পাস করে বরিশালের বরগনায় একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি নিয়েছিল। চাকরি পেয়ে ছেলে আমাকে বলেছিল ‘বাবা তোমাকে আর ভ্যান চালাতে হবেনা। এখন থেকে আমি টাকা পাঠাবো’। চাকরি পাওয়ার এক মাস পরেই ৫ আগষ্টে আন্দোলনে বরগনার আমতলি এলাকায় ছেলের মৃত্যু হয়।
আলোচনা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত করেন উজেলা শাহি মসজিদের ইমাম শাহাজান।