ঢাকা সোনারগাও হোটেলে দুপুর দুইটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বাইরে ফুটবলপ্রেমীদের বিক্ষোভ দেখা গেছে। মূলত সভাপতিপ্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।বিক্ষোভকারীদের দাবি, তিনবার সভাপতি হয়েও কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেননি। তারা স্লোগান দিচ্ছেন: ‘সালাউদ্দিন হটাও, ফুটবল বাঁচাও।এ সময় বিক্ষোভকারীদের গলায় ঝোলানো বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সেখানে ‘র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৭ লজ্জাকর অবস্থা থেকে জাতি মুক্তি চায়, ফুটবলের সোনালী অতীত ফিরিয়ে দাও পরিবর্তন চাই, উন্নয়ন চাই সহ বিভিন্ন লেখা রয়েছে। দেশের ফুটবলে মাঠের অবস্থা করুণ হলেও জমে উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন।তবে ঠিক যতটা জমজমাট হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়ে উঠতে পারেনি। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রচারের পর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত বাফুফে নির্বাচন। এ ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এর আগে নির্বাচনী ভেন্যু পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনাররা। এবারের নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ৪৭ প্রার্থী। এবারের নির্বাচনেও টানা চতুর্থবারের মত সভাপতি প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন একাধিক প্রার্থী।তারা হলেন সাবেক দুই ফুটবলার- বাদল রায় এবং শফিকুল ইসলাম মানিক। যদিও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাদল রায়। তবে সভাপতি পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারপত্র নির্ধারিত সময়ের পরে জমা দেয়ার কারণে প্রতিদ্বন্দিতায় থাকছেন তিনি। বাদল রায়ের নাম ব্যালট পেপারে থাকছে।এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মেসবাহ উদ্দিন, ‘আগেও বলেছি এখনও বলছি, বাদল রায় বৈধ প্রার্থী। বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি কী প্রস্তাব দেন বা এজিএম কী অনুমোদন দেয় সেটা দেখার বিষয়। এর আগে আমরা কোনো মন্তব্য করব না।’ এমন পরিস্থিতিতেও কাজী সালাউদ্দিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে দুর্বল ভাবছেন বিশ্লেষকরা।যদিও কাজী সালাউদ্দিন নিজে জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে তিনি কখনোই দুর্বল ভাবেন না। বিগত নির্বাচনগুলোতে এএফসি-ফিফার প্রতিনিধি এলেও এবার আসেননি। করোনার কারণে তারা আসতে পারছেন না। তবে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্র।