পুরো এক ঘণ্টা উইকেটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছিল বাংলাদেশ। হাতে থাকা সব বিকল্পকেই ঘুরেফিরে বোলিংয়ে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি। বোলিংবান্ধব মিরপুরে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার কাইল ভেরেইনে এবং উইয়ান মুল্ডার। দুজনের পার্টনারশিপ গড়েছিল নতুন রেকর্ডও।
তবে দৃশ্যপট কিছুটা বদলেছে ৬৫তম ওভারের শেষ দুই বলে। মুল্ডারকে স্লিপে সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে ১১৯ রানের জুটি ভেঙেছিলেন হাসান। পরের বলেই হাসান ফিরিয়েছেন কেশব মহারাজকে। অবশ্য মুল্ডার ততক্ষণে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি তুলে নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার লিডও ততক্ষণে পেরিয়েছে ১০০।
নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে হ্যাট্ট্রিকের সম্ভাবনা ছিল হাসান মাহমুদের। দেখেশুনে সেই বলটা ঠেকিয়েছেন আরেক সেট ব্যাটার ভেরেইনে। হ্যাটট্রিক না হলেও অন্তত খানিক স্বস্তি দলকে ঠিকই দিয়েছেন হাসান। এই প্রতিবেদন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ১২৯ রান। স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান।
জোড়া আঘাতের আগে বাংলাদেশকে অবশ্য মিরপুরে ধাক্কা দিয়েছে জোড়া হাফসেঞ্চুরি। কাইল ভেরেইনে আর উইয়ান মুল্ডারের দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। অবশ্য তাতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের খানিক অবদানও আছে। আর দুজনের জুটি ছিল ১১৯ রানের। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৮০ রানের জুটিতেও ছিলেন মুল্ডার। ২০২২ সালে পোর্ট এলিজাবেথে কেশব মহারাজকে নিয়ে সেই জুটি গড়েছিলেন তিনি।
এর আগে গতদিন বাংলাদেশকে মিরপুর টেস্টে টিকিয়ে রাখার মিশনে সফল ছিলেন তাইজুল ইসলাম। একাই তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় দিনেও শুরু থেকেই তার ওপর ভরসা রাখছিলেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু প্রথম ঘণ্টায় তাইজুলের মতো সফল হতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো বোলারই। লিডটাও সেই সুবাদে বেশ বড় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অনলাইন ডেস্ক