নড়াইল: নড়াইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, তিনি ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মচারীর অভিযোগ, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি কাঁচামাল ও ভবন স্থাপনার জন্য বরাদ্দকৃত ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০২৩/২৪ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৫ লাখ টাকার টেন্ডারে সিংহভাগ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং অ্যাসেট প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের বেশিরভাগ ব্যবহার না করেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
কর্মচারীরা আরও জানান, অধ্যক্ষ আবুল বাশার বিভিন্ন ট্রেডে নিম্নমানের কাঁচামাল ও স্টেশনারি সরবরাহ করে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গার্মেন্টস ট্রেডে পর্যাপ্ত কাঁচামাল সরবরাহ না করার অভিযোগও রয়েছে। ইনচার্জদের অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
অধিকন্তু, প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মচারীকে দালালদের মাধ্যমে অবৈধ আয়ের কাজে সহযোগিতা না করায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। একটি বিশেষ ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, কর্মচারী জয়দেব বৈধ্যকে রাতে ডিউটির সময় অফিসের ফোন চুরির নাটক সাজিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অধ্যক্ষের
তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল মামুন সিদ্দিকী। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত খবর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে পরিচালিত নড়াইল টিটিসির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফুল-টাইম অধ্যক্ষ নিয়োগ করা উচিত।
অভিযোগের ভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করার দাবি জানিয়েছে নড়াইল টিটিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।