অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বৃহস্পতিবার (২১ নভম্বর) ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও সিটি কলেজে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে অফিস ও বিভাগসমূহ খোলা থাকবে এবং নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে সিটি কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্য কারণবসত বৃহস্পতিবার সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুর থেকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এতে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উল্লেখ্য, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা কলেজের বাস যেতে তারা বাধা দেন এবং সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের ‘শঙ্খনীল’ নামে একটি বাস ভাঙচুর করে। এর পরপরই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সায়েন্সল্যাবে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জানা যায়, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা কলেজের বাস যেতে তারা বাধা দেন এবং সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের ‘শঙ্খনীল’ নামে একটি বাস ভাঙচুর করে। এর পরপরই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সায়েন্সল্যাবে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে এখনও সংঘর্ষ চলছে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে ২৮ অক্টোবর সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর পর ১৯ নভেম্বর কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।