নাটকীয় মোড় নিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এবার রাশিয়াকে রীতিমতো চেপে ধরেছে ইউক্রেন।
গত কয়েক দিন ধরে মস্কোর চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে কিয়েভ। এতদিন স্বীকার না করলেও রোববার (১১ আগস্ট) নিজেদের ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের এমন আগ্রাসনে চাপ বাড়ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর।
রাশিয়া কখনো ভাবেনি এমনটা ঘটবে। কিন্তু বদলে গেছে পাশার দান। এখন রাশিয়ায় ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। দ্রুতগতিতে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে রাশিয়ার ৩০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া পুরো মাত্রায় হামলা শুরুর পর এ প্রথম দেশটির এতটা ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে ষষ্ঠ দিনের মতো লড়াই চলছে। সেখানকার তলপিনো ও অবসকি কোলোদেজ গ্রামের কাছে ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর লড়াই চলছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার শান্তিপূর্ণ জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই প্রথম ওই হামলার কথা স্বীকার করেছেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, চলতি গ্রীষ্মে কুরস্ক অঞ্চল দিয়ে রাশিয়া দুই হাজারের বেশি হামলা চালিয়েছে। আর্টিলারি, মর্টার, ড্রোন এমনকি মিসাইল দিয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার জবাব দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়া দাবি করেছিল, ছোটখাটো হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে ইউক্রেনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা এ অভিযানের অংশ হয়েছে।
ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন আক্রমণাত্মক ভূমিকায় আছি। আমাদের উদ্দেশ্য শত্রুদের অবস্থান প্রসারিত করা, সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি করা এবং রাশিয়ার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা। কারণ তারা তাদের নিজস্ব সীমান্ত রক্ষা করতে অক্ষম। রাশিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শত্রুদের মোবাইল গ্রুপ রাশিয়ার আরও ভেতরে ঢোকার একটি প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে তারা।
ইউক্রেন বাহিনী বলছে, তারা কুরস্ক অঞ্চলের একাধিক স্থাপনা নিজেদের দখলে নিয়েছে। রাশিয়ার তিন কিলোমিটার ভেতর গুয়েভো নামের একটি গ্রামে ইউক্রেনের সেনাদের করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশাসনিক ভবন থেকে রাশিয়ার পতাকা সরিয়ে ফেলছে তারা। আরও কয়েকটি গ্রামেও একই ধরনের ভিডিও ধারণ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৯