যশোরে যুবলীগ কর্মী সোহাগ হত্যা মামলার আসামি তাইজেলকে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই তানভীর রহমান তন্ময় বৃহস্পতিবার মামলাটি করেছেন। মামলায় কোতয়ালি থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি অপূর্ব হাসান ও নিহত যুবলীগ কর্মী সোহাগের ভাই ফেরদাউস হোসেন সোমরাজসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ বিষয়ে থানা কোনো মামলা হয়েছে কিনা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী সাতকার্যদিবসের মধ্যে আদালতে দাখিলের আদেশ দিয়েছে।
আসামিরা হলেন, কোতয়ালি থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসান, এসআই হাসান, কনস্টেবল রোকনুজ্জামান ও আবু হাসান এবং শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ঠিকাদার ফেরদাউস হোসেন সোমরাজ।
সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গার হাফিজুর রহমানের ছেলে তানভীর রহমান তন্ময় মামলায় দাবি করেছেন, তার বড়ভাই তাইজেলের সাথে আসামি সোমরাজের পূর্ব শত্রæতা ছিলো। এরই জের ধরে সোমরাজের কুপরামর্শে আসামি কোতয়ালি থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসান, এসআই হাসান, কনস্টেবল আবু হাসান ও রোকনুজ্জামান ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানায় আসামি ওসি অপূর্ব হাসানের রুমে যান তানভীর রহমান তন্ময়। সেখানে তিনি সকল আসামিকে দেখতে পান। এছাড়া তার ভাই তাইজেলকে থানার হাজতখানায় দেখতে পান তিনি। তখন আসামি ওসি অপূর্ব হাসান ও এসআই হাসান তাকে বলেন, তোর ভাইকে বাঁচাতে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে দেখা করবি। ভাইকে বাঁচাতে তাদের টাকা দিতে রাজী হন তিনি এবং বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু সকালে তানভীর রহমান তন্ময় খবর পান, পুরাতন কসবা বেগম মিলের পাশে তার ভাই তাইজেলের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায় এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে আসামি ওসি অপূর্ব হাসানের হুমকির কারণে সেই সময় মামলা করতে সাহস পাননি তানভীর রহমান তন্ময়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৭