যশোরে পৌনে দুই কোটি টাকা চাঁদা নেয়া ও ব্যবসায়ীকে মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল শহরের চারখাম্বার মোড় এলাকার এবি সিদ্দিকী রাজন বাদী হয়ে যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আলমগীর সুমনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন।
এই মামলার অপর আসামি হলেন, সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকির হোসেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম, কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে স্যাটেলাইট কেবল অপারেটর লাইসেন্স করে ব্যবসা করে আসছিলেন বাদীর পিতা। এরইমধ্যে তার পিতার অসুস্থ্যতার কারণে বাদী নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দেখাশুনা করছিলেন। ২০১৫ সালের ১ জুন হাজী সুমনের নেতৃত্বে কয়েকজন লোকজন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাদীর ওয়ার্কিং পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব দেন। রাজি না হলে ব্যবসা বন্ধ করার হুমকি প্রদান করাসহ জোর পূর্বক বাদীকে দিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাইয়া নেয়। পাশাপাশি প্রতিমাসে হাজী সুমনকে ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে জানায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে ২৫/৪০ হাজার টাকা জোর পূর্বক আদায় করে নেয়। পরে ২০১৭ সালের ২১ মে বিকেলে আবারও বাদীর প্রতিষ্ঠানে এসে ভাংচুর, মারপিট এবং ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাহকের কাছ থেকে এপর্যন্ত এক কোটি সত্ত¡র লাখ টাকা আদায় করে নেয় আসামিরা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ঘটনার সময় আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আশায় তিনি এ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৭