যশোরে ফল ব্যবসায়ীকে অপহরণ, চাঁদা আদায় ও মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার ভুক্তভোগী শহরের বকচর হুশতলা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে ফল ব্যবসায়ী মনির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী তাজউদ্দিন আহম্মেদ।
আসামিরা হলো, কোতয়ালি থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার মিয়া, এসআই হাসানুর রহমান, এসআই দেবাশীষ রায়, এএসআই রাজন গাজী, এএসআই এসএম ইসাইল, এএসআই নুর উন নবী, কনস্টেবল আবু বক্কার, কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পুরাতনকসবার মৃত আবু তালেব মোড়লের ছেলে আতিক বাবু ও নতুন উপশহরের ই-বøকের শ্রী কান্তি ভ’ষণ মন্ডলের ছেলে নিলু মজুমদার।
মামলাল অভিযোগে জানা গেছে, মনির হোসেন যশোর মনিহার মোড়স্থ ফল পট্টিতে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সুনামের সাথে ফলের ব্যবসা করেন। ২০১৮ সালের ২৫ মে রাতে একদল পুলিশ দোকানে হানা দিয়ে মনির হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়। স্বজনেরা সংবাদ পেয়ে থানায় গিয়ে মনিরের সন্ধান পাননি। পরদিন রাতে থানায় গিয়ে এসআই হাসানুর রহমানের সাথে দেখা হলে মনির হোসেনের সন্ধান জানতে চান স্বজন ফয়সল হোসেন। এ সময় থানায় উপস্থিত দুই আওয়ামী লীগ নেতা আতিক বাবু ও নিলুসহ অপর আসামিরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে মনিরকে ক্রয়ফায়ারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় আসারিমা। নিরুপায় হয়ে ফয়সাল হোসেন এসআই হাসানুর ও দেবাশীষের হাতে দেয় হয়। মনির হোসেনকে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও পরদিন মনির হোসেন অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার দেখিয়ে থানায় মামলা দিয়ে ২৮ মে আদালতে চালান করে। মনির হোসেন দীর্ঘদিন কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি পেয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহন করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে পরিস্থিতি অনুক’লে আশায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৬