যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল তৌকিরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রী পারভীন সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম কবির অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানায় ওসিকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আরএম মইনুল হক খান ময়না।
তৌকির বর্তমানে যশোরের অভয়নগরের সিদ্দিপাশা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত আছেন। তিনি মেহেরপুর গাংনি থানার কাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট আসামি তৌকির পারিবারিক ভাবে পুলিশ কনস্টেবল পারভীন সুলতানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা যশোর শহরের পুরাতনকসবা লিচু বাগান এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছিলেন। এরমধ্যে আসমি তৌকির তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় তৌকির তার স্ত্রীর বেতনের সমুদয় টাকা নিয়ে নিত। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পারভীন সুলতানা বাধ্য হয়ে পিতার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা এনে দেন তার স্বামীকে। এ টাকা দিয়ে তৌকির জমি ক্রয় করে। পরবর্তীতে তৌকির বাড়ি নির্মাণের জন্য যৌতুকের বাকি ১০ লাখ টাকা জন্য চাপ দিতে থাকে। যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় গত ১২ আগস্ট রাতে তৌকির বাসায় ফিরে টাকার জন্য পারভীন সুলতানাকে মারপিট ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। চিৎকার শুনে বাসার অন্যরা এসে পারভীনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করার।
বিষয়টি পরিবারিক ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৩