যশোরে এক ঠিকাদারকে অপহরণের পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার নয়বছর পর যশোরের আলোচিত টিএসআই রফিকসহ ১১ জনের নামে শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার মোস্তফা কামাল শিফা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলাটি করেছেন। এ মামলায় মোট সাত পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলার পুলিশ সদস্য আসামিরা হলেন, চাঁচড়া ফাড়ির তৎকালিন ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন, কনস্টেবল খাইরুল ইসলাম, আবু জাফর, জাহিদ হোসেন, মুজিবুল ইসলাম ও আব্দুল আলিম। অন্য আসামিরা হলেন যশোর শহরতলীর বিরামপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার গোবিন্দ বিশ্বাস, প্রনয় বিশ্বাস, মণিরামপুর উপজেলার সমসেরবাগে গ্রামের কাঠালতলার আবুল হোসেন ও গোলাম হোসেন।
বাদী মামলায় বলেছেন, তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। এরমধ্যে প্রথম সাত আসামি পুলিশের সদস্য। অন্যরা পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে কাজ করতো। ২০১৫ সালের ৬ মে বাদীকে বাড়ি থেকে তুলে সদর উপজেলা বোলতলা গ্রামের মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় আসামিরা। এরপর তার বাড়িতে থাকা ৭২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর তার চোখ ও হাত বেঁধে বাদীর কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে আসামিরা। রাজি না হলে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায় বাধ্য হয়ে বাদীর মা রিজিয়া বেগম বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধারকর্জ করে আসামিদের ১২ লাখ টাকা দেন। ওইদিন ভোর রাতে যশোর রেলস্টেশনে ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় মামলা করার জন্য যান বাদীর মা রিজিয়া বেগম। কিন্তু আসামিরা বাদীর মায়ের লেখা অভিযোগ ছিড়ে ফেলে উল্টো তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঘটনার নয় বছর পর বাদী আদালতে এ মামলা করেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৭