যশোরে গরু ফার্মের কর্মচারি মিলন মোল্যা হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর রাতে নিহতের স্ত্রী রেকসোনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি থানায় এই মামলাটি করেছেন।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার জালঝাড়া গ্রামে। অভাবের সংসারে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে এলাকার বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে দশ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। পাঁচ বছর ধরে তার স্বামী যশোর শহরের বকচর বিহারী কলোনীর রানী চানাচুর ফ্যাক্টরীর মধ্যে একটি গরু খামারে কাজ করেন মিলন মোল্যা। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাজুয়াডাঙ্গা থেকে মিলন মোল্যা ওই খামারে আসেন। গত ১৩ অক্টোবর ভোরে বাসা থেকে আসলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে তার স্বামীর সাথে কথা হয় স্ত্রী রেকসোনা খাতুনে। এরপর থেকে আর তার সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু ১৪ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে রেকসোনার খালা ফরিদা কেগম মোবাইল ফোনে জানান যে গরু খামারের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা অবস্থায় মিলনের লাশ পড়ে আছে। সেখানে এসে মিলনের লাশ দেখে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নার তদন্ত করে ওইদিন বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে ওই খামারে তরিকুল ইসলাম নামে এক নৈশ প্রহরী ছিলো। যদিও তরিকুল কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। ১৪ অক্টোবর র্যাব ক্যাম্প যশোরের সদস্যরা তরিকুল ইসলামকে হেফাজতে নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হলেও গত দুইদিনে কোন আসামিকে আটক বা হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই কবির হোসেন মোল্যা জানিয়েছেন, হত্যার কারণ উদঘাটন ও খুনিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
-রাতদিন সংবাদ