যশোরে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল করে সেক্টরের জমি দখলের অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কতৃপক্ষের উপ-পরিচালকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদলতে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলো, জাতীয় গৃহয়ান কর্তৃপক্ষের ভুমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আয়ুব আলী, অফিস সহকারী ইদ্রিস আলী, যশোর নতুন উপশহর এলাকার মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, শিক্ষাবোর্ড এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ফজলে রাব্বি ও শার্শার শিববাস গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মুকতাদির হারুন।
মঙ্গলবার নড়াইল লোহাগাড়ার চরশাল নগর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান মোল্যার ছেলে মহিউদ্দিন এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল লোহাগাড়ার চরশাল নগর গ্রামের লুৎফর রহমান ১৯৭৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যশোর উপশহর হাউজিংয়ের ৭ নম্বর সেক্টরের এইচ-৫ নম্বর প্লটের ৮ দশমিক ২৬ শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদলখ করে আছেন। ২০০৭ সালের ১০ মে লুৎফর রহমানের মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশগন এ জমির মালিকানা লাভ করেন। জমিটি পতিত অবস্থায় থাকায় আসামি মুকতাদির হারুন জোর করে দখল করে নেয়। পরবর্তীতে লুৎফর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিন এ জমির দখলে গেলে মুকতাদির হারুন জানিয়ে দেন তার পিতা এ জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর আসামি মুকতদির হারুন আইনজীবী সমিতির নিচতলার ১২ নম্বর রুমে বসে একটি দলিলের ফটোকপি দেখান। যা তার পিতার মৃত্যুর চার মাস পরে করা দলিল। দলিলে পিতার ঠিকানা ও জমির তফসিল ঠিক নেই। আসামি মুকতাদির হারুন গৃহায়ন কতৃপক্ষ যশোর অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার করে জালিয়াতি করে এ দলিল তৈরী করেছেন যা প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে জমির দখল নিতে গেলে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আসামি মুকতাদির হারুন আওয়ামলীগের রাজনীতিবিদদের ব্যবহার করে জমির দখলে রেখেছিলেন।
বর্তমানে পরিবশে অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৬