যশোরে খড়কি বামনপাড়া এলাকায় এক যুবকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে দেয়ার অভিযোগে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার যশোর আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী বামনপাড়ার মৃত রেজাউল করিমের ছেলে ফজলুল করিম।
আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত জাকির আলীর ছেলে বজলুর রহমান ও ঢাকায় কর্মরত সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ বছর পূর্বে ২০১৮ সালে আসামি বজলুর রহমান বাদীকে প্রলোভন দেখিয়ে বলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরে একটি চাকরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে তার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। বাদীকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে বলে আশ্বস্থ করেন। চাকরির জন্য বাদীর কাছে ১৩ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। একপর্যায় বাদী রাজি হন। তাদের মধ্যে চুক্তি হয় চাকরি পাওয়ার আগে ১০ লাখ ও পরে তিন লাখ টাকা দিতে হবে। একবছর পর বাদী দুই দফায় ১০ লাখ টাকা আসামিদের কাছে দেয়। এরপর করোনার কারণে কালক্ষেপন হয়। একপর্যায় ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষা হয় কিন্তু বাদীর নিয়োগ হয়না। বিষয়টি জানার পর বাদী ওই টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা নানা ধরনের তালবাহানা করেন। আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই টাকা ফেরত দেবেনা ও নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেন। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১১