খাজুরার ব্যবসায়ীর প্রবাসী ছেলেকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার তিন বছর পর বাঘারপাড়ার সাবেক এমপি রনজিৎ রায়ের ছেলে রাজিব রায়সহ আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা অভিযোগের তদন্ত করে ডিবিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অপর আসামিরা হলো, বাঘারপাড়ার তেলিধান্যপুড়া গ্রামের জাহাতাব বক্সের ছেলে আব্দুল হামিদ ডাকু, অরবিন্দুর ছেলে লেন্টু, হালিম বিশ^াসের ছেলে রুবেল, লাল মিয়া চৌকিদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ বিশ^াসের ছেলে মঞ্জুর রহমান, মথুরাপুর গ্রামের মান্নানের ছেলে রিপন ও ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের শশারপাড়া গ্রামের শিবুপদ দাসের ছেলে তাপস কুমার দাস।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, শাহাবুদ্দিন তার পরিবার নিয়ে সৌদী প্রবাসী ছিলেন। শাহাবুদ্দিনের পিতা ওলিয়ার রহমান খাজুরা বাজারের খাস ১০ বর্গফুট জমি সরকারের কাছ থেকে বন্দবস্তো নিয়ে আধাপাকা ঘর তুলে খেলা ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন পরে আসামিরা এ জমি দখলের নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রীকে দেশে ফিরে জানতে পারেন আসামিরা তার পিতার কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার আসামিরা পরিকল্পিত ভাবে শাহাবুদ্দিনকে একটি নাশকতা মামলার আসামি করে দেয়।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর আসামিরা শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে এসে হাকডাক শুরু করে। এ সময় শাহাবুদ্দিন বেরিয়ে আসলে আসমিরা তার কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা শাহাবুদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জোর করে তাদের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রাজিব রায়ের বাড়িতে নিয়ে একটি রুমে আটকে রাখে। সাহাবুদ্দিনের স্বজনের সংবাদ পেয়ে রাজিব রায়ের বাড়িতে গেলে চাঁদার টাকা না দিলে শাহাবুদ্দিনকে খুন করে গুম করবে বলে হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ও শাশুড়ির ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার গহনা এবং নগদ এক লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেয়। পরদিন আসামিরা শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে যেয়ে তার পোষা ৬ টি গরু নিয়ে যায়। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো প্রতিবাদ কিংবা আইনানুগ ব্যভস্থা নিতে পারেননি।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১১