শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: লীজ নেওয়া ৭৮ শতক জমিতে মাঁচা পদ্ধিতে টমেটো ও বেগুন চাষের সাফল্যতা দেখছেন কৃষক আনিচুর। তিনি মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের লুৎফর সরদারের ছেলে কৃষক আনিছুর রহমান।
এবার প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও অনাবৃষ্টির কারণে অন্যের জমি লীজ নিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২৮ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের টমেটো ও ৫০ শতক জমিতে বেগুনের চাষ করে সাফল্যতার মুখ দেখছেন তিনি। এখন প্রতিটি টমেটো গাছে প্রচুর পরিমান ফুল ফল এসেছে। গত আড়াই মাস আগে তিনি জমিতে টমেটোর চারা রোপন করে নিয়মিত পরিচর্যা করে আসছে। এরপর বাঁশের চটা দিয়ে মাঁচা উচুসহ পলিথিন দিয়ে চার পাশ ও উপরে ডেকে দেন এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া দেড় ফুট উচু করে বেঁধে নালা তৈরি করে রাখে। টমেটোর চারাগুলোতে আকাশের বৃষ্টি ও গোড়ায় যাতে পানি জমে না থাকে দিকে খেয়াল রাখতেন কৃষক আনিছুর।
আবহাওয়ার অবস্থা ভালো থাকায় উপরের পলিথিন খুলে দিয়েছে এবং জমিতে সুন্দর ভাবে সারি বদ্ধ করে টমেটো ও বেগুন চারা লাগিয়েছেন। সবুজ অরণ্য এ ক্ষেত দেখলে চোখ জুড়ে আসবে। এখন প্রতিটি গাছে প্রায় দেড় কেজি মত টমেটো দেখা গেলেও কিছু কিছু টমেটো পাঁক ধরছে আবার কিছু সবুজ হয়ে আছে।
অন্য দিকে বেগুন গাছেও ফুল ও ফল ধরছে। প্রাকৃতি দূর্যোগ ও অনাবৃষ্টির কারণে এবার ধানি জমিসহ বিভিন্ন সবজি নষ্ট হওয়ায় কৃষক আনিছুর ডিজিটাল পদ্ধতিতে টমেটো ও বেগুন চাষ করেন বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যের ৭৮ শতক জমি লীজ নিয়ে ২৮ শতক শতক জমিতে টমেটো ও ৫০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করতে তার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি জানান। এখন তার ক্ষেতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ টমেটো ধরেছে ও বেগুন গাছে প্রচুর ফুল ও ফল আসায় তিনি সাফল্যতার স্বপ্ন দেখছেন। এখন বাজার অনুপাতে সবজির যে দাম তাতে তিনি খরচ খরচা বাদ দিয়েও প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন।
গতকাল শনিবার সরেজমিন তার ক্ষেত পরিদর্শনে গেলে কৃষক আনিছুর রহমান বলেন আমি ধার দেনা করে ৭৮ শতক জমি লীজ নিয়ে ডিজিটাল পদ্ধিতে টমেটো ও বেগুন চাষ করতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি এবং ৫/৬ লক্ষ টাকার টমেটো ও বেগুন বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করি। আবহাওয়া ভাল থাকবে বা প্রাকৃতিক দূযোর্গা না হলে বা বাজার অনুপাত এভাবে থাকলে খরচ খরচা বাদেও আমি প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা লাভের মুখ দেখছি।