হিন্দুদের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে যশোরে ‘বৈষম্যবিরোধী সংখ্যালঘু ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিক্ষোভ

কয়েক হাজার ছাত্র- জনতার অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্ররা অবিলম্বে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠনসহ চার দফা দাবি জানান। অন্য দুই দাবির মধ্যে রয়েছে গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর ভাঙচুর, লুটপাট নির্যাতনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা এবং নিরীহ সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ।

এসময় ছাত্র- জনতা মুহুর্মুহু শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তলে সমাবেশ স্থল। তারা সমবেত কণ্ঠে স্লোগান দেয়- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’, আমি কে তুমি কে বাঙালি বাঙালি, আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা, বাংলা আমি ছাড়বো না, আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না, সনাতনীর উপর আক্রমণ, মানি না মানবো না, সাম্প্রদায়িক হামলা, রুখে দাঁড়াও বাংলা, দেশ না কি স্বাধীন? হিন্দু কেন বাস্তুহীন, স্বাধীনতার আলো হিন্দুর ঘরে জ্বালো, আমার ঘরে হামলা কেন- জবাব চাই, জবাব দাও, এই জেগেছে রে জেগেছে, সনাতনী জেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে- জেগেছে রে জেগেছে, হিন্দুর ঘর জ্বললো কেন- জবাব চাই, জবাব দাও, স্বাধীন করেছে সবাই মিলে- এখন কেন বিভেদ চলে- সবাই মিলে গড়ব দেশ, হিন্দু কেন হচ্ছে শেষ, দেশটা কারো একার নয়- হিন্দু কেন দেখছে ক্ষয়, বৈষম্যহীন বাংলায়- বিভেদের ঠাঁই নাই, কথায় কথায় ভারত যা- ভারত থেকে আসি নাই, রক্ত যদি সবার লাল, বিভেদ কেন চিরকাল?

সমাবেশ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জানমাল রক্ষা এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সর্বসাধারণকে দলে দলে যোগদান করার জন্য আহ্ববান করা হয়।

সমাবেশ থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে বলে জানান, বৈষম্যবিরোধী সংখ্যালঘু ছাত্র আন্দোলন যশোরের শিক্ষার্থীরা।