সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো দুই দস্যু আটক ও দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩ রাউন্ড গুলি, দেশি অস্ত্র, দস্যুতায় ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম এবং ট্রলার জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মামদো, মালঞ্চ, খোপড়াখালী ও ফিরিঙ্গি নদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত ২৫ জুন রাত থেকে আজ ২৮ জুন ভোর পর্যন্ত অভিযান চালায় র্যাব। আজ রোববার দুপুরে খুলনার র্যাব-৬ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার হরদহ এলাকার মো. লুৎফরের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৪), আশাশুনি উপজেলার বসুখালীর মৃত জামাত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪) এবং অজ্ঞাত এক যুবক (২৫)। আটক দুইজনের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয় প্রেস ব্রিফিংয়ে। ওই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রওসানুল ফিরোজ প্রমুখ। প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘সুন্দরবনে নতুন করে দস্যু তায় নামার চেষ্টা করলে তাদের পরিণতি এরকম হবে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির হাত থেকে কেউ পার পাবে না।’ নিহত ও আটক মোট পাঁচজনই সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নেমেছিলেন বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
খুলনা প্রতিনিধি