Monday, September 16, 2024

সিনহা হত্যা : দোষ স্বীকার করে যা বললেন লিয়াকত

- Advertisement -

সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলী। ‘ডাকাত ধরতে’ তল্লাশি চৌকিতে গিয়ে সিনহাকে নিজেই গুলি করেন লিয়াকত। ৩০ আগস্ট, রবিবার কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লিয়াকত আলী এই তথ্য জানান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে টানা পৌনে ৫ ঘণ্টা ধরে জবানবন্দি দেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে খাইরুল ইসলাম বলেন, তিন দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পরিদর্শক লিয়াকত আলী সিনহা হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি সুস্থ মস্তিষ্কে রবিবার আদালতে এসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। এদিকে আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে লিয়াকত আলী আদালতের কাছে বলেন- মারিশবুনিয়া গ্রামের তিন ব্যক্তি লিয়াকত আলীকে ফোন করে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এক ব্যক্তির (সিনহা) কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে এবং তিনি ডাকাত দলের সদস্য বলে জানায়। লিয়াকত আলী তাদের কথা বিশ্বাস করে চেকপোস্টে অবস্থান নিয়ে সিনহাকে গুলি করেন। সূত্র আরো জানায়, জবানবন্দি গ্রহণের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লিয়াকতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক আইসি পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।এর আগে এ হত্যা মামলায় এপিবিএনের এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত বুধবার এ মামলার আসামি এপিবিএন কনস্টেবল আবদুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পরিদর্শক লিয়াকতের গুলিতেই নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেবনাথকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাস, এসআই লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সব মামলারই তদন্তভার এখন র‌্যাবের হাতে।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত