এর জের ধরে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে ফেরদৌসের লোক মিরান শেখ (৪৮), জিয়ারুল শেখ (৪৫), ও ইরান শেখ (৪০) এরা আপন ৩ ভাই তাদের জমা জমি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আয়ুবের দোকানের উত্তর পাশে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন রামদা, চাপাতি, ছ্যানদা ও বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তিন জনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক গুরুতর জখম করে।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম মিরান শেখ ও জিয়ারুল শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং অপর ভাই ভিকটিম ইরান শেখকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশনায় অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, বিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নড়াইল পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। তারই ধারাবাহিকতায় লোহাগড়া থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, নড়াইল এর একটি চৌকস দল অদ্য ১৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার কাশিমপুর থানার মাধবপুর গ্রাম থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আাসমী পিন্টু শেখ(৪০), মিন্টু শেখ(৫০) ও শরিফুল শেখ(৩৫)’দের গ্রেফতার করে।
রোববার সেপ্টেম্বর মুরাদ শেখ বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
আর কে-১২
- Advertisement -