যশোর পৌরপার্কের ভেতরে এবং সামনের রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে এমএম কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের চেষ্টাকালে মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজনকে রোববার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে চাকুসহ এবং বাকি একজনকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের চৌরাস্তা বস্তাপট্টি থেকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো, শহরের সিটি কলেজপাড়ার সিরাজুল হক খোকনের ছেলে সিয়াম হোসেন (২১), কারবালা কবরস্থান পাড়ার মফিজুর রহমানের ছেলে সাদিকুর রহমান সান (১৯), হুশতলা এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে জুবায়ের হোসেন (১৯) এবং বেজপাড়া রানার অফিসের মোড়ের রফিকুল ইসলাম মনির ছেলে সাজিদুল ইসলাম আরমান (১৯)।
পুলিশ জানিয়েছে, সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়ন হাসান (১৯) এমএম কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগের শিক্ষার্থী। গত রোববার বিকেলে সে তার এক বান্ধবীকে নিয়ে শহরে পৌরপার্কের মাধ্যে লেখাপাড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলো।
সে সময় ওই চারজন সেখানে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তোলে। এরপর রিয়ন হাসানকে চাকু ঠেকিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে তার বন্ধবীকে বাড়িতে পাঠিয়ে রিয়নকে পৌরপার্কের সামনে একটি রেস্টেুরেন্টের মধ্যে আটকে রাখে। বিকেলে রিয়নের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান মিশনের (৩১) কাছে ফোন দেয়। এবং তার কাছে রিয়নকে আটকে রেখেছে বলে জানায়। ১৫ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায়। সে সময় মেহেদী হাসান মিশন কোতয়ালি থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে পৌরপার্ক এলাকায় যায় এবং ওই রেস্টুরেন্ট থেকে সিয়াম, সান ও জুবায়েরকে একটি চাকুসহ আটক করে। পরে মেহেদী হাসান মিশন কোতয়ালি থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরো একজানের নামে মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া আরমানকে চৌরাস্তা বস্তাপট্টি থেকে আটক করে।