যশোরে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত আসামি ফিরোজ বেগম ফিরু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা জজ ৭ম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন টিপু তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শাহরিয়ার ইবনে আজাদ।
আদালত ও মামলা সূত্রে যানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত নয়টার পর একটি চুরি মামলায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজার ছেলে মোস্তফা মোস্তকে বেনাপোলের এমপি মার্কেটের সামনে থেকে আটক করে। পরে তার কাছথেকে চোরাই মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। চুরি হওয়া বাকি টাকা ও মোবাইল কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করলে মোস্ত জানান তার মা ফিরোজার কাছে রয়েছে। পুলিশ পরে মোস্তকে সাথে নিয়ে ফিরোজার কাছে যান। ফিরোজার ঘর তল্লাশি করা হয়। খাটের নিচের একটি বাক্সথেকে তিনটি চোরাই মোবাইল ফোন ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ ওই বাক্স থেকে একশো গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। যার দাম ১০ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন এসআই এহসানুল হক। ২-১৭ সালের ১২ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান ফিরোজার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। গত ৪ নভেম্বর রায় ঘোষনার দিনে ফিরোজার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এরপর থেকেই পলাতক ছিলে ফিরু। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
রাতদিন সংবাদ