যশোর জেলা বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলার আরও এক আসামিকে আটক করেছে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। এছাড়া এ মামলায় এজাহার ভুক্ত দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আটক আজাদ চাঁচড়া ভাতুড়িয়ার আইয়ুব আলীর ছেলে। এছাড়া আত্মসমর্পণকৃতরা হলেন পূর্ববারান্দীপাড়ার জলিলের ছেলে আলোচিত অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া সানি ও বারান্দীপাড়ার হারুনের ছেলে নান্টু। সোমবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
র্যাব জানিয়েছে আজাদকে বিকেলে আটকের পর রাতে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে বারান্দীপাড়ার অ্যাডভোকেট সানি ও নান্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সানি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এলাকায় কিশোর গ্যাঙ চক্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাদের দিয়ে শহরে চুরি, ছিনতাই, মাদকের কারবারসহ নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে নান্টুর বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৮ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ৬৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট এমএ গফুর।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামিরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। গত ৪ আগস্ট সকলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয় আসামিরা। এরপর তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শহরের লাল দিঘীর পশ্চিমপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও পরে অগ্নিসংযোগ চালায়। এসময় অফিসে থাকা দুইটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয় ও বোমা হামলাসহ ৪০ মিনিট তান্ডব চালায়। এসময় অফিস সহকারী মনিরুল ইসলাম অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
-রাতদিন সংবাদ