যশোর সদর উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামের মা মঞ্জিলে চিঠি পাঠিয়ে চাঁদাবাজি মামলার পলাতক আসামী আহাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার ২৭ জুন ভোরে পুলেরহাট -রাজগঞ্জ রোডের বাগেরহাট তেতুলিয়া গ্রামের কলেজ মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত গোপাল গাজীর ছেলে। এদিকে আটকের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে আহাদুল ইসলাম স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পওে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে আহাদুল ইসলাম জানায়, তাদের এ চক্রের সদস্য পাঁচজন। অন্যরা হচ্ছে,বিপ্লব সরদার ,মহাসিন, বিল্লাল ও রুবেল। ঘটনার দিন তারা একত্রিত হয়ে একটা চিঠি ওই বাড়িতে ফেলে আসে। তাতে বিপ্লবের মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে এবং লেখা থাকে দুই লাখ টাকা দিতে হবে অন্যথায় বিপদ আছে। এরপর ওই বাড়ির লোকেরা মোবাইলে একলাখ টাকা দিতে রাজী হয়। কিন্তু প্রথমদিন ওই খানে অনেক লোকজন দেখে তারা ফেরত আসে। পরের দিন ফের টাকা আনতে যায় তারা। এরপর মহাসিন টাকা নেওয়ার সময় পুলিশ চলে আসে। অন্যরা সবাই পালিয়ে যায় কিন্তু মহাসিনকে পুলিশ আটক করে।
গত ১১ মে সদর উপজেলার বানিয়াবহুর গ্রামের “মা মঞ্জিল” বাড়ীর মালিক কলারোয়া ইউএনও’র সরকারী গাড়ীর ড্রাইভার আজিজুল হক এর বাড়ীতে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা হাতে লেখা একটি চিঠি ফেলে যায়। যাতে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে প্রাননাশের হুমকিও দেয়া হয়। ঐ দিন রাতেই আজিজুল হকের চাচাতো ভাই ইউসুপ ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে পরিচয় জানতে চাইলে পরিচয় না দিয়া ২ লাখ টাকা কখন কোথায় দিবে জানতে চায়। পরের দিন বিষয়টি তিনি থানা ও ডিবি পুলিশকে অবহিত করে । ডিবি পুলিশের সহায়তায় আসামিকে হাতে নাতে আটক করা হয়।
পরে এ ঘটনার মূল হোতা বিপ্লব হোসেনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সে সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি, ইয়াবা ট্যাবলেট ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক বিপ্লব হোসেন সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম মন্টুর ছেলে। এ মামলার আরেক আসামি রুবেলকেও আটক করা হয়। সর্বশেষ আহাদুল ইসলাম আটক হলো।
বিশেষ প্রতিনিধি