আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধানসহ চার সদস্যকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। সোমবার ৩১ আগস্ট ভোরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি, নগদ টাকা ও লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে বাহার আলী তরফদার (৪০), শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামের আনছার গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে রেজাউল ওরফে গুড্ডু (৪০), আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা শ্বেতপুর গ্রামের মৃত মকছেদ সরদারের ছেলে আব্দুস সালাম সরদার (৫৫) ও যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে তহিদুর রহামান ওরফে কালু। এদিকে আদালতে সোপর্দের পর প্রধান অভিযুক্ত বাহার আলী তরফদার ছাড়া অপর তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক আসামিদের জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলণে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, গত ২৩ আগস্ট মনিরামপুর উপজেলার পলাশী গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে ও ২৮ আগস্ট ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা গ্রামের রানা বিশ্বাসের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় ওই দুই পরিবার ৭ লাখ ৬২ হাজার টাকার মালামাল লুটের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলা দুটি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর ডিবি পুলিশের ওসি সৌমেন দাসের নেতৃত্বে সোমবার ৩১ আগস্ট ভোররাতে শার্শা উপজেলার নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাত দলের প্রধান বাহার আলী তরফদার, ও তার সহযোগী সালাম সরদারকে আটক করা হয়। এদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শার্শা উপজেলার বারিপোতা গ্রামে জনৈক কাদেরে বাড়ি অভিযান চালিয়ে শফিকুল ইসলাম গুড্ডুকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ঝিকরগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপর সদস্য শার্শা উপজেলার রেলবাজারের তন্নি জুয়েলার্সের মালিক তহিদুর রহমান কালুকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুট্যার গান, এক রাউন্ড গুলি, একটি এয়ারগান, নগদ এক লাখ ৭৯ হাজার টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরাঞ্জম উদ্ধার করা হয়।
রাতদিন সংবাদ